বনসাই করার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কোথায় পাবেন???
বনসাই এর যন্ত্রপাতি - imtiazshoykat.blogspot.com
বনসাই এর যন্ত্রপাতি - imtiazshoykat.blogspot.com

বনসাই অনেক সখের একটি নাম সেই সাথে অনেক সাধনার একটি শিল্প। বিশেষ করে আমরা যারা বাগান বিলাসী, তাদের খুব প্রিয় একটি জিনিস এই বনসাই। কিন্তু আমার মত অনেকেই শহরে বা ভাড়া বাসার বারান্দাটাকেই দু তিনটে গাছ লাগিয়ে বাগান করার সখ মিটাচ্ছেন তাদের কাছে বনসাই করার ইচ্ছা জাগলেও সেটা করতে যাওয়া বিলাসিতা মনে হতে পারে। আর কেউ যদি টুকটাক বনসাই করার কাজ ঝোকের মাথায় শুরু করেও বসেন বনসাই এর যন্ত্রপাতি যোগাড় করতে গিয়ে সে সখ আর মেটানো হয় না। কারন বনসাই এর যন্ত্রপাতি গুলো একটু বেশী দামি হয়ে থাকে যার কারণে অনেকে শুরু করার আগেই ভেবে বসেন যে বনসাই অসলেই অনেক বিলাসিতার একটা সখ। তবে একটু খুঁজলে হয়ত হাতের কাছেই পেয়ে যেতে পারেন সব ধরনের উপকরন বা যন্ত্রপাতি। অথবা, হাতের কাছের অনেক জিনিসপত্রও আপনি দরকারি জিনিস বানিয়ে নিতে পারেন। 

চলুন তবে দেখে নিই, আপনার দরকারী জিনিস গুলো কোথায় পেতে পারেন...

বনসাই এর যন্ত্রপাতি- 

বনসাই করতে গিয়ে আপনার কতগুলো দরকারি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হতে পারে। যেমন
  1. গাছ কাটার জন্য ছুরি বা করাত, 
  2. ডাল পালা প্রুণিং করার জন্য কেঁচি বা প্রুণিং সিজর, 
  3. কনকেইভ কাটার, 
  4. গাছের শিকড় কাটার জন্য রুট প্রুণিং সিজর, 
  5. ট্রাংক স্প্লিনটার,
  6. মাথা কাটার জন্য টপ প্রুণিং সিজর, কারভিং টুলস, 
  7. গাছের শেপের জন্য এলুমিনিয়াম বা তামার তার,
  8. ডালপালা বাকানোর জন্য ব্রাঞ্চ বেন্ডার
  9. তার কাটার জন্য ওয়্যার কাটার
  10. তার বাকানোর জন্য প্ল্যায়ার্স, 
  11. ঘুরন্ত টেবিল, ইত্যাদি। 
বনসাই এর যন্ত্রপাতি - imtiazshoykat.blogspot.com

এছাড়াও বাগান করার আরো কিছু সাধারণ যন্ত্রপ্রাতি যেমন-
  1. গ্রাফটিং করার জন্য গ্রাফটিং নাইফ, 
  2. গ্রাফটিং টেপ,  
  3. পানি দেওয়ার দেওয়ার জন্য স্প্রে বোতল বা ওয়াটারিং জার, 
  4. গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সার  
  5. গাছের পোকামাকড় রোধের অন্য প্রয়োজনীয় ঔষুধ বা কীটনাশক 
বনসাই এর যন্ত্রপাতি - imtiazshoykat.blogspot.com
বনসাই এর যন্ত্রপাতি - imtiazshoykat.blogspot.com


উপরোক্ত সকল জিনিস পত্র একসাথে সংগ্রহ করা সত্যি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং আপনার জন্য ব্যয়বহুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এসব জিনিসপত্রের সবকিছু কিন্তু আপনার একসাথে লাগবেনা আবার দেখবেন বেশির ভাগ জিনিস পত্রই সাধারন বাগান করার কাজে প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে একজন বাগানি হিসেবে আপনার কিছু কিছু জিনিস আগে থেকেই থাকার কথা। আর যে সকল জিনিস নেই সে গুলো খুব সহজেই কম খরচে সংগ্রহ করতে পারেন। 

বনসাই যেহেতু কিছুটা সখ বা বিলাসিতার জিনিস সেক্ষেত্রে এর টুলস গুলোও কিছুটা বেশি দামের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি সখের বসে টুলস গুলো সংগ্রহ করতেই পারেন অথবা হাতের কাছে যা পান তাই দিয়েও কাজ চালাতে পারেন।বনসাই এর ভারি যন্ত্রপাতি গুলো বাংলাদেশে সবখানে পাওয়া যায় না তাই বনসাই শিল্পিরা সরাসরি চায়না থেকে এসব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেন। তবে এখন আমাদের দেশের অনেক ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন পেইজে এসব টুলস বিক্রি করে থাকে আপনি চাইলে তাদের থেকেও কিনে নিতে পারেন। বাইরে থেকে আনাতে গেলে দাম বেশিই পড়বে আর আমাদের দেশে ভারি কনকেইভ কাটার গুলো ২০০০-৩০০০টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। মান এবং সাইজের উপর নির্ভর করে কম বেশ হতে পারে। 

হাতের কাছের জিনিস পত্র দিয়েও আপনি আপনার দরকারি কাজ সেরে নিতে পারেন। যেমন-  প্রুণিনহ সিজরের কাজ সাধারন ভালো মানের সিজর দিয়েই করতে পারেন। যে কোন স্টেশনারি দোকানে বা নার্সারিতে ৫০-১০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ওয়্যার বা প্লায়ার্স কাটার গুলো আপনার আসে পাশের হার্ডওয়্যারের দোকানেই পেয়ে যাবেন ১০০টাকার মধ্যে। তাছাড়াও কারওয়ান বাজারে দা-বটির মার্কেটে কিছু রেডিমেট বাগান করার যন্ত্রপাতি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে সেখান থেকে প্রয়োজনমত অর্ডার দিয়ে দরকারি টুলসটি বানিয়েও নিতে পারেন। 

তবে, বনসাই মূলত একটি শৈল্পিক শিল্প। আর গাছের সঠিক সৌন্দর্যটি ধরে রাখতে সঠিক যন্ত্রটির কোন বিকল্প নেই। 
এক্ষেত্রে উপযোগী যন্ত্রটি ব্যাবহারের মাধ্যেমেই আপনি আপনার গাছের সৌন্দর্য বজার রাখতে পারেন।

বনসাই গাছের জন্য মাটি
আপনার বনসাই গাছটি অন্য সাধারণ গাছের থেকে আলাদা আর তাই এর মাটিও সাধারন মাটি থেকেও আলাদা হয়ে থাকে। এর মাটি তৈরির ধাপটা আলাদা তবে সাধারন গাছের মাটি তৈরি থেকে খুব বেশি যে আলাদা তা কিন্তু নয়। বনসাই এর মাটি তৈরি পুরোটাই নির্ভর করে আপনার নির্বাচিত গাছটির উপর। শুরুর দিকে বনসাই ট্রেইনিং অবস্থায় থাকার সময় সাধারন টবে সাধারন মাটিতে প্রয়োজনীয় সার দিয়েও লাগিয়ে পরিচর্যা করতে পারেন কিন্তু বনসাই টবে ( ছোট অগভীর টব) লাগানোর সময় বনসাই মাটি ব্যাবহার করাই উত্তম। মাটি তৈরির সব সময়ই খেয়াল রাখতে হবে যে গাছের পানি যেন দ্রুত সরে যেতে পারে এবং গাছের শিকড় তাড়াতাড়ি বিস্তার করার জন্য টবের মাটি যেন কিছুটা ঝুর ঝুরে থাকে। 

Potting Soil- imtiazshoykat.blogspot.com
Potting Soil- imtiazshoykat.blogspot.com


মাটি যেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন- 
যারা নিয়মিত বাগান করেন তাদের জন্য মাটি সংগ্রহ করা খুব একটা ঝামেলার কিছু না। কিন্তু যারা আমার মত শহরে থাকেন কিংবা বারান্দার বা অল্প জায়গা নিয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য মাটি মিক্স করা বা সংগ্রহ করা অনেকটা ঝামেলার ব্যাপার। শুরুর দিকে আমিও অনেক ঝামেলা করে মাটি সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এখন আপনি মাটির বিকল্প হিসেবে অনেক কিছু ব্যাবহার করতে পারেন। তাছাড়াঅনলাইন সাইট বা পেইজেও আপনার প্রয়োজনমত মাটি পেয়ে যেতে পারেন। এখন অনেক পেইজেই/সাইটে রেডি মিক্স মাটি পাওয়া যায়। যেখানে মাটি, সার সব কিছু মিক্স করা প্যাকেট আকারে পেতে পারেন। এ রেডিমিক্স মাটি টবে লাগিয়েই যে কোন গাছ লাগিয়ে দিতে পারেন। 

Coco Peat- imtiazshoykat.blogspot.com
Coco Peat- imtiazshoykat.blogspot.com

কোকোপিট-
মাটির বিকল্প হিসেবে কোকোপিট (নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়ো) পাওয়া যায় নার্সারিতে যা দেখতে অনেকটা ইটের ব্লকের মত। মাটির সাথে কোকোপিট মিক্স করে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় কারন এতে মাটি ঝুরঝুরে হয়, পানি সহজে চলাচল করে যার ফলে গাছের শিকড় দ্রুত বিস্তার করতে পারে। মাটি সংগ্রহ করা আপনার জন্য ঝামেলার মনে হলে আপনি কোকোপিটে সরাসরিও গাছ লাগিয়ে দিতে পারেন। মাটির বিকল্প এ কোকোপিট আপনি বড়বড় নার্সারি কিংবা চাইলে ইউটিউবে দেখে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন নারিকেলের খোসা/ছোবড়া দিয়ে। এছাড়াও এর দাম কিন্তু বেশি নয়। প্রতি ব্লক কোকো পিট ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা হয়ে থাকে। কোকোপিট মিক্স বা কোকো ডাস্টের প্রতি কেজি ৩০ টকা থেকে শুরু। চাহিদা অনুযায়ী কম বেশি ও হতে পারে।  

বনসাই গাছের প্রয়োজনীয় সার- 
অনেকের মতে বনসাই গাছ মানেই ছোট রাখা বা বাড়তে না দেওয়া। যেটা পুরোপুরিই ভুল। বরং বনসাই গাছে অন্যান্য গাছের থেকে বেশি যত্ন নিতে হয়। আর এটি যেহেতু বনসাই টব(ছোট অগভীর পাত্র) বা ট্রেইনিং টব (সাধারন টব) এ থাকে সেক্ষেত্রে এতে নিয়মিত সার বা পুষ্টি সরবারাহ করা একান্তই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। টবে থাকার ফলে এটি মাটি থেকে দরকারি উপাদান নিতে পারেনা তাই প্রতি মাসে ১ থেকে ২ বার সার দিয়ে পুষ্টি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হয়। টবের গাছের জন্য সার প্রয়োগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 
এক্ষেত্রে রাসায়নিক বা জৈব দুই ধরণের সার আপনি ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু রাসায়নিক সারের ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবল্বন করতে হবে কেননা বেশি মাত্রায় প্রয়োগের ফলে আপনার সখের গাছটি মরেও যেতে পারে। আর কোন সার কেন দিতে হয় এবং কি পরিমানে দিতে হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। 
রাসায়নিক্ সার নার্সারি বা আসেপাশের কৃষি মার্কেট থেকে পেতে পারেন। পরিমান ভেদে এর দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে বেশি হতে পারে। কারন রাসায়নিক সার টবের গাছে খুবই অল্প পরিমানে দিতে হয়। বেশি প্রয়োগের ক্ষেত্রে গাছের উপকারের চাইতে অপকার ই বেশি হয়।

অপর দিকে বনসাই এ আপনি নিয়মিত ভাবে বাসায় বানানো জৈব সার ব্যাবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। কেননা এটি ব্যাবহার করা নিরাপদ এবং খরচও নেই।কারন এটি যেহেতু জৈব সার সেক্ষেত্রে কম বেশি হলে গাছের তেমন ক্ষতি হয়ার আশঙ্কা নেই। বাসায় নিত্যদিনের শাক সবজির উচ্ছিষ্ট পচিয়ে বা  কলার খোসা অথবা  চা পাতা এগুলো অনেক ভালো জৈব সার হিসবে কাজ করে।

এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার নিকটবর্তি নার্সারি থেকে ভার্মি কম্বোস্ট (কেঁচো সার), অথবা প্যাকেট জাত জৈব সার কিংবা গোবর সার, হাড়ের গুঁড়ো ইত্যাদিও কিনে মাসে একবার বা দুইবার নিয়মিত ব্যাবহার করতে পারেন। এসব প্যাকেট জার সারের দাম ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। 

বিঃ দ্রঃ শীত কালে ফুল গাছ ছাড়া সকল গাছে যে কোন সার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সময়ে এ বেশির ভাগ  গাছের শিকড়ের কার্যক্রম খুব ধীরে হয় এবং গ্রোথ থেমে যায়।


বনসাই গাছের কীটনাশকঃ 

অন্যান্য গাছের মত বনসাই গাছেও রোগ কিংবা পোকা মাকড় আক্রমন করে থাকে। ক্ষতিকারক পোকামকড়ের কারণে অনেক সময় গাছের পাতা বা ডাল মরে যেতে পারে কিংবা গাছের গ্রোথ থেমে যেতে পারে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে রোগের কারণে সখের বনসাইটি মরেও যেতে পারে।

বনসাই গাছে পোকা আক্রমন করলে দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে। বেশির ভাগ গাছের কমন রোগ হচ্ছে ছত্রাকের আক্রমন এবং  পোকার মধ্যে রয়েছে মিলিবাগ। আর মরে যাওয়া মিলি বাগের জন্য গাছে শুরু হয় পিপড়ার আক্রমন। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক ধরনের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ। এর জন্য নিয়মিত হারবাল বালাই নাষক স্প্রে করতে হবে। প্রয়োজনে গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করা লাগতে পারে।  

গাছে কীট নাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ভেদে কিটনাশক আপনার কাছাকাছি নার্সারিতে পেয়ে যাবেন অথবা ফেসবুকের অনলাইন পেইজ বা ওয়েব সাইট থেকেও অর্ডার করতে পারেন। পরিমান ভেদে এসব কিট নাশকের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা বা আরো বেশিও হতে পারে।

অথবা আপনি চাইলে ঘরে বসে ইউটিব দেখে পাকৃতিক ভাবে ভেষজ পদ্ধতিতে পাকৃতিক বালাইনাশক বানিয়ে নিতে পারেন।

বনসাই গাছে প্রতি সাপ্তাহে গাছের সবকটি পাতা তুলা অথবা নরম কাপড় দিয়ে ধুঁয়ে দেওয়া ভালো। এতে পাতায় ধুলা বালি বা রোগের আক্রমন কম হয় এবং গাছের পাতা সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকতে পারে। প্রয়োজন ভেদে এলোভেরা জেল পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন। এলোভেরা পাকৃতিক এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। 


পরিশেষে- বনসাই অনেক শৌখিন একটি পেশা। বর্তমানে অনেকে সখের বসে কিংবা বানিজ্যিক ভাবেও অনেকে শুরু করেছেন। তাই এর সঠিক পরিচর্যা এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যাবহার একান্তুই গুরুত্বপূর্ণ। যা গাছের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মনে রাখা ভালো, প্রকৃতিতে যেভাবে একটি গাছ বেড়ে উঠে বনসাইকে সেভাবে আকৃতি দেওয়ার মাঝেই বনসাই এর সার্থকতা। অপাকৃতিক বা উদ্ভট আকৃতি গাছের শৈল্পিক সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং একই সাথে শিল্পির কুরুচিপূর্ণ মনোভাবেরও বহিঃপ্রকাশ করে ।     
মুভি রিভিউঃ সাঞ্জু (Sanju 2018)

মুভি রিভিউঃ সাঞ্জু (Sanju 2018)


imtiazshoykat.blogspot.com 

সঞ্জয় দত্ত! ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ক্ষমতাধর অভিনেতা তিনি। তবে তার ক্ষমতা শুধু অভিনয়ে সীমাবদ্ধ নয়, আন্ডার ওয়ার্ল্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্যক্তিগত জীবন আর অভিনয় জগতে বহুল আলোচিত এই অভিনেতা। তার এই বহুল আলোচিত জীবনী নিয়েই রাজ কুমার হিরানীর বায়ো পিক মুভি সাঞ্জু।

সম্প্রতি রিলিজ হওয়া সাঞ্জু একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে চলেছে। ভাঙ্গাটাই যেন স্বাভাবিক কারণ পরিচালক টাই এমন। মুন্না ভাই, থ্রি ইডিয়ট, পিকের মত মুভি বানিয়েছেন যিনি তার কাছে এসব নতুন কিছুই না।

মুভিটিতে দেখা যায় সঞ্জয় দত্ত, যার উপর বেশ কয়েকটি মামলার রায় পড়ে যাওয়ায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তার আগে তিনি চাচ্ছিলেন যে তার জীবনের চড়াই উতরাই নিয়ে একটি বই লিখা হোক। যেন মানুষ তাকে ভুল না বুঝে সত্যি টা জনাতে পারে। কিন্তু তাকে নিয়ে লেখা প্রথম বইটিতে তাকে মহাত্মা গান্ধীর সাথে তুলনা করা হয় এতে রেগে গিয়ে তিনি বইটি পুড়িয়ে ফেলেন। যার কারণে তিনি অন্য এক লেখিকার কাছে ধরনা দেন। যিনি কিছুতেই রাজি নন তার মত এক "সন্ত্রাসী" ক্ষ্যত কোন লোকের জীবনী লিখে তার নিজের ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে। তবে পুরু কাহিনী জানার পরে তিনিই অবশ্য অধীর আগ্রহে রাজি হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্তের জীবনী লেখার জন্য। শুধু রাজি নয় বরং তিনি এমন কিছু জানতে পারলেন যে পরবর্তীতে নিজেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সত্যি গুলো বের করে নেন।

এখানেই মজাটা।আমরা যারা মুভিটির কথা জানি, তারা এটাও জানি যে মুভিটিতে সঞ্জয় দত্তের জায়গায় অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর। কিন্তু মজাটা এখনেই যে, মুভিটি ফুটে উঠেছে রণবীর কাপুরের জবানীতে নয়, বরং সেই লেখিকার জবানীতে। রণবীর কাপুর শুধু মাত্র সঞ্জয় দত্তের জায়গায় ই অভিনয় করেছেন। অভিনেতা হিসেবে রণবীর কাপুর অবশ্যই অনেক ভালো অভিনেতা। তবে আমার মতে এখানে মনে হয়েছে রণবীর কাপুর ছাড়া অন্য কেউ এই চরিত্রটি এতটা নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না। মুভিটি দেখার সময় আপনাদের মনে হবে যে আপনারা রণবীর কাপুরকে নয় বরং সঞ্জয় দত্তকেই দেখছেন। এতটাই নিখুঁত আর সূক্ষ্ম ছিল তার অভিনয়।

তবে সবকিছু মিলিয়ে মুভিটি বেশ অসাধারণ ছিল। কারণ মুভিটিতে দেখা যায়, কিভাবে একটা সাধারণ মানুষ নেশার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর সে খান থেকে ফিরে আসার পরেও কি ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনকি আমরা যাদের প্রতিনিয়ত পর্দায় অভিনয় করতে দেখে মনে মনে আফসোস করি, তাদের জীবনটাও আসলে কতটা সাদামাটা এবং ঝামেলা পূর্ণ হতে পারে। মুভিটিতে আরও দেখা যায় যারা মিডিয়ার সাথে জড়িত বা পর্দায় পরিচিত মুখ, একটা নিউজ বা পত্রিকার হেডলাইন কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে তাদের জীবনে।

যে সকল কারণে মুভিটি সমালোচিত বা আপনার খারাপ লাগতে পারে:


১। মুভিটিতে সঞ্জয় দত্তকে পুরোপুরিভাবে নির্দোষ এবং ক্লিন চরিত্রের ব্যক্তিত্ব হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

২। অনেকের মতে সঞ্জয় দত্তের মার্কেট ভ্যালু বাড়ানোর জন্যেই রাজ কুমার হীরানী তার বায়ো পিকটি রিলিজ করেছেন, কারণ মুন্না ভাই সিরিজের ৩য় মুভিটি খুব তাড়াতাড়ি তিনি করতে যাচ্ছেন। কারণ এই সিরিজের আগের ২ টি মুভিও তারই করা।

৩। ড্রাগের প্রতি আসক্তির মূল কারণ হিসেবে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং সম্পূর্ণ দোষটি তার বন্ধুর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

৪। তার ফ্যামিলির নিরাপত্তার কারণেই নাকি আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সাথে তার সম্পর্কের কারণ । এখানেও যথারীতি তাকে নির্দোষ হিসেবেই দেখানো হয়েছে যদিও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের সাথে তার সম্পর্কের যথেষ্ট প্রমাণ পুলিশের কাছেই ছিল।

৫। অস্ত্র মামলায় তাঁর কাছে এ কে ৫৬ বন্দুক রাখার তিনি নিজেই স্বীকার করে এক ইন্টার্ভিউতে বলেছিলেন যে তাঁর শিকার করার শখ ছিল, কিন্তু মুভিতে এই জিনিসটি সূক্ষ্ম ভাবে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যে কারণে মুভিটি আপনার ভালো লাগতে পারে:

১। একজন অভিনেতা বা হাই প্রোফাইল মানুষ কিভাবে ড্রাগের দিকে আসক্ত হয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরে আসা এবং আসার পরেও কী ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় তার সবই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক নিপুণ ভাবে।

২। পারিবারিক চাপ এবং নিজের ক্যারিয়ার পাশা পাশী পারিপার্শ্বিক অবস্থা কিভাবে একজন মানুষ কে ভুগাতে পারে সেই জিনিসটিও খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।

৩। মিডিয়ার একটি নিউজ বা একটি হেডলাইন একটা মানুষের জীবনে কতটা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে সেই জিনিটিও খুব সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন।

৪। বাবার সাথে ছেলের সম্পর্কের যে দূরত্ব এবং তা কাটিয়ে উঠে পিতৃ সুলভ যে সাপোর্ট দেয়া উচিত সে জিনিটিও চমৎকার লেগেছে।

৫। একটি কাল্পনিক চরিত্র যতটা ভালো ভাবে নিজের মত করে ফুটিয়ে তোলা যায় বায়ো পিকে সঞ্জয় দত্তের মত গম্ভীর ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ একটি চরিত্র হুবহু নকল করা বেশ জটিল ও কষ্ট সাধ্য ছিল যেটির জন্য রণবীর কাপুর অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

বায়োপিক মুভি কিছুটা বোরিং ধরণের হলেও রাজ কুমার হিরানী বেশ চমৎকার ভাবে মুভিটির শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

IMDB অনুসারে রেটিং - ৮.৯
ব্যক্তিগত রেটিং- ৯/ ১০
What Really Make A Tree Into Bonsai - The Open Secrets of A Bonsai Tree
Bougainvillea: mtiazshoykat.blogspot.com
Bougainvillaea Bonsai, Image from internet:imtiazshoykat.blogspot.com

What makes a tree into Bonsai? 

As a Bonsai lover, I hope you are looking for the same answer! I am also a beginner seeking the method of making trees into bonsai. My research led me to find something interesting to share with you. I'm sure you know what a bonsai is already. Unless you don't know, then visit to know What is Bonsai.  


Creating a bonsai takes time. Making short trees is not possible soon. It's not much tougher, though. 


Bonsai Image form net


The process is to transform a large tree into a small one. Lastly, the small tree appears to be a mature one.  

To begin the process, you will need a healthy tree. Those trees are very important as you have a long way to go with them. This is a prerequisite for making a bonsai. 

After that, you can follow a few steps to grow up your tree. Your tree only needs to be shaped like a mature one. A tree that grows slowly is ideal for it. However, you must make sure it grows properly. 
Bonsai: Ficus Green Island- imtiazshoykat.blogspot.com

The first step in making a bonsai is to choose the right tree. It should be very healthy and a long-living tree would be ideal.  

You might also want to choose a longer-lived tree around your area. After that, you need to put the tree in a regular pot for one or two years.

On the first step, never put it into a small or narrow pot. Provide your tree with some space on the pot so that its roots can grow properly. The root's growth can be prevented by a shallow space. Which is more important in your journey of Bonsai.  
Bonsai: Ficus Green Island- imtiazshoykat.blogspot.com

Universal Bonsai Process

Cutting, Pruning and wiring are the three basics of Bonsai. You need to do this step by step. 

You can choose the cutting and pruning method ignoring the wiring. If you dislike it anyhow. 

Different types of Wiring Methods

But keep in mind that, only one step is not enough for shaping your tree. Wiring is great and handy to bend the branches over time. But you need to do it carefully. Wiring for a long time can also damage tree branches. But proper short wiring helps you to get a proper bonsai shape. 

You can also choose the cutting and growing methods instead of wiring. This is simple, you need to cut off unwanted growth and then give it a season to grow back. Doing this over and over you can also shape your tree. But this can be a very long process to get your shape. 
Cutting & Growing Method: imtiazshoykat.blogspot.com

Also, you need to be an expert in this method. That's why I would suggest you choose a short time wiring for shaping. Maybe you won't get the previous growth once you cut off any branch. 

However, you can get shaping ideas from YouTube. This can be very much helpful for your brainstorming and choose an ideal shape for your bonsai for the first time. 

Finally, you need to cut off sometime you need to wire. Anything depends on the situation and the condition of your tree. 

All that you need to monitor your tree regularly. So that you can know which one will be good for your tree. 
Bonsai: imtiazshoykat.blogspot.com



Remember, You can't grow a tree without proper nutrition. And Bonsai is like that at all. It's a bad idea to stop feeding your tree to prevent growth. Many of us still believe that Bonsai trees no need that much fertilization. That is a very common wrong concept in Bonsai. 

Without proper nutrition, your tree won't grow in proper shape. So that you will face difficulties to make bonsai. You have to ensure natural growth with proper fertilization. 

Yes feeding a regular tree and bonsai tree is almost different. Liquid fertilizer is more effective than any other type of fertilizer. As with the less soil, liquid fertilizer is easy for the roots to feed than hard types of fertilizer. That is the easiest and fastest way for growing fast your Bonsai trees. At the same time, this will keep your tree healthy and green. 
Chinese Banyan: imtiazshoykat.blogspot.com 

Another important thing you need to focus on is Bonsai Soil. Even when you working with a pre-bonsai, the soil is still important. You have to keep the soil well drainage. At the same time, you have to ensure that the tree gets all the necessary elements from the soil.

As the Bonsai need less soil so that you have to make a perfect mixer with sands, fertilizer, and drainage particles. You need to fertilize it by maintaining a proper circle like 15 days to 20 days.  

Do not fertilize any tree during winter. It is the dormant period for trees. You need to change the soil after every 1 or 2 years gap. You need to prune the roots as well to keep it within the limited soil.  
Peepal Tree Bonsai: imtiazshoykat.blogspot.com

Bonsai is the most living artwork worldwide. So you can have your bonsai with proper care. It's a charming and beautiful art that gives you pleasure as a Bonsai Maker. All you need some experience in basic gardening. Then you will start to learn it slowly by working with your trees.
Bonsai: imtiazshoykat.blogspot.com
In the same way, a bonsai artist values their works, their bonsai means a lot to them. If you are interested in learning more about bonsai gardening, I hope you can get started now. Remember to share your bonsai artwork, ideas, and experiences!
Bonsai Garden: imtiazshoykat.blogspot.com




মুভিঃ স্টোনম্যান মার্ডার্স । The Stone Man Murders

মুভিঃ স্টোনম্যান মার্ডার্স । The Stone Man Murders

ব্যাক্তিগত রেটিং ৮/১০


[সত্য ঘটনা] সাল ৮০র দশক । ভারতে প্রথম বারের মত আবির্ভাব ঘটল এমন এক সিরিয়াল কিলারের যে কিনা ফুটপাতের অসহায় মানুষদের খুন করা শুরু করল একে একে । ১৯৮৩ সালে বোম্বের রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে একে একে পাওয়া গেল ৯টি লাশ। যাদের মাথা থেতলে দেওয়া হয় ভারি পাথর দিয়ে । রাত জেগে পুলিশ পাহারাও খুব একটা কাজে দিল না। পাওয়া গেল না কোন খুনী কিংবা খুনের কোন মোটিভ । পুলিশ নাম দিয়ে দিল “পাথরমানব হত্যাকারী” আর পুরো জিনিসটিই থেকে গেল অমীমাংসিত।

প্রায় ৪ বছর বিরতি দয়ে ১৯৮৭ আবার শুরু হলো একই ভাবে খুন! তবে এবার স্থান কলকাতায় আর খুন হলোও ৯টি। যথারিতি কোন প্রমাণাদি ছাড়া আমিমাংসিত কেস যার কোন সমাধান তখনো হয়নি। 

উইকিপিডিয়া অনুযায়ী তার মোট টার্গেট ছিল ১৩-২৬ জন!!! সাল এবং সময় নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে!

জি, এতক্ষণ কোন মুভির কথা বলছিলাম নাহ! বলছিলাম সত্যি ঘটনা, যার উপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালে বানানো হয় The Stoneman Murders। উপরের কাহিনী শুনে আশা করি বুঝে গেছেন কি ধরনের মুভি। যার মূল চরত্রে ছিল Kay Kay Menon আর Arbaaz Khan যাদের অভিনয় নিয়ে নুতুন করে কিছু না বললেও চলে। যাই হোক, মুভির কাহিনীতে দেখা যায় Sanjay Shelar (KayKay Menon) বদরাগী সাব ইন্সপেক্টরের ভূমিকায়। যার কিঞ্চিত আসামী ধরে ডলা দেওয়ার  বদ-অভ্যাস ছিল। যার কারনে শুরুতেই তার চাকরি চলে যায় তাই খুন গুলোর তদন্ত করতে হয় আন অফিসিয়ালি। 

Sanjay এর ই আরেক সহকারী পুলিশ Kedar (Arbaaz Khan) যে অফিশিয়াল ভাবে তদন্তরত অবস্থায় সন্দেহ করে বসে Sanjay কে । কারণ খুনের সময় এবং কাছাকাছি তাকে আশেপাশেই পাওয়া যেত। আর যেহেতু মারধর করার রেকর্ডও ছিল তার এবং চাকরি চলে যাওয়ায় হয়ত সেই খুন শুরু করে রক্তপিপাসু নেশায়! এমন সন্দেও শুরু হলো তার উপর!

সত্যিকার ঘটনায় খুনিকে ধরা না গেলেও মুভিতে শেষ পর্যন্ত Sanjay রহস্যের সমাধান করতে পেরেছিল। খুবই কম লোক জানতে পেরেছিল তার সমাধানের কথা । কিন্তু এত কাঠ খড় পোড়ানোর পরেও Sanjay তার চাকরীটি ফিরে পেল নাহ। এমনকি কাহিনীর শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, মিডিয়াতে প্রকাশিত হয় “Case was never solved!”

কারণ কেউই এর সত্যটা জানতে দিতে চায় না! এটাও একটি রহস্য তবে এর উত্তর জানতে আপানাকে মুভিটি অবশ্যই দেখতে হবে!

বিঃদ্রঃ বাস্তব কাহিনীতে খুনীকে ধরা না গেলেও মুভিতে রহস্যের সমাধান দেখানো হয়েছে। কারণ মুভিতে অনেকটাই বাস্তব কাহিনীর ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। হয়ত এ কারনেই মিডিয়ার কাছে কেইসটি ইচ্ছা করে অমীমাংসিত রাখা হয়েছে!!!
মুভি রিভিউঃ রহস্য  (Rahasya)

মুভি_রিভিউ- রহস্য ২০১৫ ( #Rahasya )


শুরুতেই খুন! যে মুভির নামই “রহস্য” আশ্চর্যের কিছু নেই! এক ডক্তার দম্পতির ১৮ বছর তরুণী তাদের নিজস্য ঘরেই রহস্যময় ভাবে খুন হল। খুঁজে পেল বাবার সহকারী নার্স। যথারীতি পুলিশী কেইস আর সেই সাথে তাদের চাকর হওয়া! কিন্তু নাহ! তদন্তে বের হলো মাতাল বাবার সাথে কিছুটা মারামারিও হয়েছিল সেই রাতে! তাই কিছু প্রমাণ হাতে পেয়ে বাবাকেই আসামী করে দিল পুলিশ!

কিন্তু এ কেমন বিচার ! মাতাল হলেও বাবা কেন শত আদরের মেয়েকে খুন করতে যাবে? তাই ন্যায় বিচারের জন্য মা গেল CBI অফিসার Sunil Paraskar (KayKay Menon) এর কাছে! যথারীতি মুভির নায়ক আর রহস্য উৎঘাটক । 
যাকে বেশ কয়েকটি মুভিতে বদরাগী পুলিশ হিসেবে দেখা গেলেও এখানে বেশ খোশমেজাজী আর মিডেল ক্লাস সৎ অফিসার হিসেবে দেখা যায়! যিনি কেইস হাতে পেয়েই বলে দিলেন না কোন মাতাল ব্যাক্তি এ খুন করতে পারেনা! শুরু হলো CBI এর তদন্ত। সেই সাথে হয়ে গেল আরো দুটি খুন, সাথে তার উপর ও হামলা! কিন্তু এ কেমন রহস্য যার উপর খুনের দায় তার লাশ কিনা পাওয়া গেল সে বাড়ীর মেঝেতে!

শুরুতেই খুব সাধারণ থ্রিলার মুভি মনে হলেও আস্তে আস্তে ঘনীভূত হতে থাকল রহস্যের জাল এবং খুলতে শুরু করলো জট । আসলেই কি তাই? নাকি নিজেই জড়িয়ে গেল অন্য এক রহস্যের জালে! বের হয়ে এল নানা বিচিত্র চাঞ্চল্যকর তথ্য! একে একে খুন হলো সন্দেহকারীরাও! অবশেষে নাটকীয় সমাধান! যার রহস্যভেদ করতে হলে আপনাকেও দেখে নিতে হবে পুরো মুভিটি!

২ ঘন্টা ৩ মিনিটের মুভিটিতে কোন প্রকার গান বা রোমান্সের দৃশ্য এমনকি নাচ গান ও নেই, যার কারণে ১৮+ দর্শকদের হতাশ করলেও থ্রিলার প্রেমীদেরকে ১ সেকেন্ডের জন্যেও মুভিটি ছেড়ে উঠতে দিবে নাহ। 

IMDb অনুসারে মুভির রেটিং ৭.৭



ব্যক্তিগত রেটিং ৮/১০ ।  
মুভি রিভিউঃ বাইশে শ্রাবণ



[স্পয়লার এলার্ট / ক্রিটিকাল রিভিউ]




ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সিরিয়াল কিলার থ্রিলার লাভার। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে মুভিটাকে কেন যেন ইচ্ছে করেই ফেলে রেখেছিলাম। দেখব দেখব করেও দেখা হয়নি। আজ দেখে ফেললাল পুরোটাই। পুরো গল্পটা বেশ ভালোই চলছিল সাসপেন্স আর উত্তেজনায়। বরং শেষ দিকটাই কিছুটা ধীর গতির মনে হয়েছে। 

কাহিনী সংক্ষেপ

গল্পের পুরোটা জুড়ে প্রবির (প্রসেনজিৎ) আর আভিজিৎ প্রকাশ (পরমব্রত) মিলে সিরিয়াল কিলিং কেইস গুলো সমাধান করার চেষ্টা করতে থাকে। শেষ মেষ খুনী টাকে পেয়ে গেলেও কাহিনি মোড় নেয় উলটা দিকে। এট্টুক পর্যন্ত ঠিকই ছিল কিন্তু এই খানে এসে কিছুটা খটকা লাগে। বিশেষ করে প্রসেঞ্জিত যখন বলল "কাঁচা হাতের স্ক্রিপ্ট সব সোজা সোজা মিলে গেল"। আমার মনে হয় কাহিনীটা এট্টুকই ছিল, পরে সাসপেন্স বাড়ানোর জন্য শেষের টুকু টেনে নেওয়া। [দেখা শেষ করে এসে জানাতে পারেন, আপনার কি মনে হয়েছিল] 😁

তবে যাই হোক সিরিয়াল কিলার হিসেবে গোতম ঘোষ চমৎকার পাগলামির অভিনয় করতে পেরেছিল। তার এই চরিত্রটি যথাযথ সার্থক। কিন্তু প্রসেনজিৎ এর শেষের দিকের অভিনয়টা বেশ খাপ ছাড়া লেগেছিল। কবিতা, পুলিশ অফিসার আর পাগলামি ঠিক যেন ফুটে উঠেনি। তার মত অভিনেতার উপর দর্শকদের প্রত্যাশা বেশিই থাকে। বিশেষ করে অটোগ্রাফ এর পর তার অভিনয় দেখার জন্য একটু নড়েচড়ে বসতে হয়।  

পার্শ্ব চরিত্রে আবির পুরাই ইউজলেস ছিল। মনে হচ্ছিল দরকারের বেশি ফোকাস করে ফেলেছে তার উপর।

IMDB অনুসারে রেটিং – ৮.১
ব্যক্তিগত রেটিং- ৭.৫


বিঃ দ্রঃ পুরোটাই ব্যক্তিগত মতামত, না মিললে এড়িয়ে চলুন ☺️