মুভিঃ স্টোনম্যান মার্ডার্স । The Stone Man Murders
ব্যাক্তিগত রেটিং ৮/১০
[সত্য ঘটনা] সাল ৮০র দশক । ভারতে প্রথম বারের মত আবির্ভাব ঘটল এমন এক সিরিয়াল কিলারের যে কিনা ফুটপাতের অসহায় মানুষদের খুন করা শুরু করল একে একে । ১৯৮৩ সালে বোম্বের রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে একে একে পাওয়া গেল ৯টি লাশ। যাদের মাথা থেতলে দেওয়া হয় ভারি পাথর দিয়ে । রাত জেগে পুলিশ পাহারাও খুব একটা কাজে দিল না। পাওয়া গেল না কোন খুনী কিংবা খুনের কোন মোটিভ । পুলিশ নাম দিয়ে দিল “পাথরমানব হত্যাকারী” আর পুরো জিনিসটিই থেকে গেল অমীমাংসিত।
প্রায় ৪ বছর বিরতি দয়ে ১৯৮৭ আবার শুরু হলো একই ভাবে খুন! তবে এবার স্থান কলকাতায় আর খুন হলোও ৯টি। যথারিতি কোন প্রমাণাদি ছাড়া আমিমাংসিত কেস যার কোন সমাধান তখনো হয়নি।
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী তার মোট টার্গেট ছিল ১৩-২৬ জন!!! সাল এবং সময় নিয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে!
জি, এতক্ষণ কোন মুভির কথা বলছিলাম নাহ! বলছিলাম সত্যি ঘটনা, যার উপর ভিত্তি করে ২০০৯ সালে বানানো হয় The Stoneman Murders। উপরের কাহিনী শুনে আশা করি বুঝে গেছেন কি ধরনের মুভি। যার মূল চরত্রে ছিল Kay Kay Menon আর Arbaaz Khan যাদের অভিনয় নিয়ে নুতুন করে কিছু না বললেও চলে। যাই হোক, মুভির কাহিনীতে দেখা যায় Sanjay Shelar (KayKay Menon) বদরাগী সাব ইন্সপেক্টরের ভূমিকায়। যার কিঞ্চিত আসামী ধরে ডলা দেওয়ার বদ-অভ্যাস ছিল। যার কারনে শুরুতেই তার চাকরি চলে যায় তাই খুন গুলোর তদন্ত করতে হয় আন অফিসিয়ালি।
Sanjay এর ই আরেক সহকারী পুলিশ Kedar (Arbaaz Khan) যে অফিশিয়াল ভাবে তদন্তরত অবস্থায় সন্দেহ করে বসে Sanjay কে । কারণ খুনের সময় এবং কাছাকাছি তাকে আশেপাশেই পাওয়া যেত। আর যেহেতু মারধর করার রেকর্ডও ছিল তার এবং চাকরি চলে যাওয়ায় হয়ত সেই খুন শুরু করে রক্তপিপাসু নেশায়! এমন সন্দেও শুরু হলো তার উপর!
সত্যিকার ঘটনায় খুনিকে ধরা না গেলেও মুভিতে শেষ পর্যন্ত Sanjay রহস্যের সমাধান করতে পেরেছিল। খুবই কম লোক জানতে পেরেছিল তার সমাধানের কথা । কিন্তু এত কাঠ খড় পোড়ানোর পরেও Sanjay তার চাকরীটি ফিরে পেল নাহ। এমনকি কাহিনীর শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, মিডিয়াতে প্রকাশিত হয় “Case was never solved!”
কারণ কেউই এর সত্যটা জানতে দিতে চায় না! এটাও একটি রহস্য তবে এর উত্তর জানতে আপানাকে মুভিটি অবশ্যই দেখতে হবে!
বিঃদ্রঃ বাস্তব কাহিনীতে খুনীকে ধরা না গেলেও মুভিতে রহস্যের সমাধান দেখানো হয়েছে। কারণ মুভিতে অনেকটাই বাস্তব কাহিনীর ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। হয়ত এ কারনেই মিডিয়ার কাছে কেইসটি ইচ্ছা করে অমীমাংসিত রাখা হয়েছে!!!